স্মূতি শক্তি বাড়ানোর উপায় কি কি?


স্মূতি শক্তি বাড়ানো নিয়ে আপনি অনেক খোজা খুঁজি করেছেন। কিভাবে আপনি স্মূতিশক্তি বাড়াবেন তা নিয়ে ভাবছেন। তবে আপনি ঠিক যায়গায় এসেছেন। এখানে আপনি জেনে নিতে পারেন কিভাবে স্মূতি শক্তি বাড়াতে হয়। নিম্নে কিভাবে স্মূতি শক্তি বাড়াতে হয় তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হল।

স্মূতি শক্তি বাড়ানোর উপায়


স্মূতি মানুসের অমুল্য সম্পদ। স্মূতি শক্তি ছাড়া কোন মানুষকে কল্পনা করা যাই না। এই স্মূতি বিভিন্ন উপায়ে বাড়ানো যাই। যেমন বিভিন্ন প্রকার ব্যায়াম, বিভিন্ন খাবার, বিনদোন, ঠিক মত ঘুম হওয়া ইত্যাদি।

ভূমিকা

স্মূতি এমন একটা জিনিস যে এটি ছাড়া মানুস কল্পনাতে ও আসে না। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আমারা সারারাত জেগে পড়াশোনা করি কিন্তু পরিখার হলে গিয়ে দেখি আমাদের কিছুই মনে পড়ছে না। মাঝে মাঝে মনে হয় এমন কাউকে চিনি কিন্তু তার নাম মনে আসছে না, বিভিন্ন খুঁটিনাটি জানা তথ্য ও মনে আসছে না। এই রকম হওয়া কে ভুলে যাওয়া রোগ বলে।

স্মূতি শক্তি বাড়ানোর উপায়

স্মূতি শক্তি বাড়ানোর অনেক উপায় আছে। যা আমাদের অনেকেরই অজানা। নিন্মে স্মূতি শক্তি বাড়ানোর উপায় গুলি দেয়া হল-


আমাদের স্মূতি শক্তি সচল রাখা খুবই জরুরি। তবে জেনে নেয়া যাক কিভাবে স্মূতি শক্তি বাড়ানো যাই। অনেক অনেক উপায় আছে স্মূতি শক্তি বাড়ানোর জন্যে। যেমন গান শোনার মাধ্যেমে স্মূতি শক্তি বাড়ানো যাই। বিভিন্ন রকম ব্যায়াম করা, কিছু অবসর সময় কাটানো, কোথাও ঘুরতে জাওয়া, সব সময় নতুন কিছু করা, মেডিটেশন করা ইত্যাদি।

স্মূতি শক্তি বাড়ানোর জন্যে গান শোনা ও বই পড়া

স্মূতি শক্তি বাড়াতে গান অমুল্য ভুমিকা পালন করে। গানের সুর মস্তিস্ককে জলদি সক্রিয় করে তোলে।তাই দিনের কিছুটা সময় আমাদের গান শোনা উচিত। তবে ইসলামি গান হলে ভাল হয়। তার পাশা পাশি বই ও পড়তে পারেন। বই পড়ার মাধ্যেমে মস্তিস্ক সচল থাকে। মেজাজ থান্ডা থাকে। তাছাড়া বই পড়ার মাধ্যেমে জ্ঞান ও বাড়ে। তাই স্মূতি শক্তি সচল রাখতে আমরা গান শোনা ও বই পড়তে পারি।

স্মূতি শক্তি বাড়াতে ব্যায়াম করা

দীঘদিন এক কাজ করে করে শরীরে ক্লান্তি ভাব চলে আসে। পাশা পাশি মস্তিকে জং ধরে যাই। এই জন্যে ঘরে বসে বা বাইরে গিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। আমরা সবাই জানি যে ব্যায়াম করলে আমাদের পেসি মজবুত থাকে। এই ব্যায়াম এর প্রভাভ আমাদের মস্তিস্কেও পড়ে। আর এই ব্যায়াম করার ফলে আমাদের মস্তিকে অক্সিজেন পায় ফলে আমাদের মস্তিস্ক সচল থাকে।

কিংবা মাঝে মধ্যে হাটা হাটি করাও যেতে পারে এতে করে শরীরে কোষ এর সংখা বেড়ে যাই। তাই আমরা প্রতিদিন ব্যায়াম করার চেস্টা করি।নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আমাদের মস্তিস্ক ঠিক থাকে। তাই আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।

স্মূতি শক্তি বড়াতে নতুন কিছু করা

নতুন কিছু করার মাধ্যেমে স্মূতি শক্তি বাড়ানো  উপায় খুঁজা যায়। দীঘদিন এক কাজ করে করে ক্লান্তি বোধ করছেন। এতে করে আপনার মস্তিকের খতি হয়। এতে ব্রেন সঠিক ভাবে কাজ করে না। জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনা উচিত। ছুটির দিনে পরিবার কিংবা বন্ধু দের সাথে যেতে পারেন ঘুরতে। আর যদি মনে করেন ছবি আকা ,রান্না করা, বিভিন্ন ভাষা শিখা, বাগান করা ইত্যাদি করলে আপনার মস্তিস্ক ভালও থাকে।

স্মূতি শক্তি বাড়াতে মেডিটেশন করা

মেডিটেশন মানে হচ্ছে যোগ ব্যায়াম করা। যোগ ব্যায়াম এর মাধ্যেমে আমাদের ব্রেন সক্রিয় থাকে। বেশির ভাগ মানুষ কয়েন দিন মেডিটেশন করে ফলাফল না দেখে মেডিটেশন করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ফলাফল পেতে হলে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়। ঠিক মতো মেডিটেশন করলে আমারা ভালো ফলাফল পেতে পারি।


মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের একটি দুয়া শিখিয়ে দিয়েছেন স্মূতি শক্তি বাড়ানোর জন্য।সেটি হলো-" রাব্বি জিদনি ইল্মা" অর্থঃ "হে আল্লাহ আপনি আমাকে জ্ঞান দান করুন।" আমারা এই দুয়া পড়ার মাধ্যেমে আল্লাহর কাছে স্মূতি শক্তি বাড়িয়ে নিতে পারি।

স্মূতি শক্তি বাড়াতে বিভিন্ন খাবার খাওয়া

স্মূতি শক্তি প্রত্যেক মানুষেরই আছে। কারো হয়তো কম কারো হয়তো বেশি। তবে এই স্মূতি শক্তি বাড়ানোর কিছু উপায় ও আছে। স্মূতি শক্তি সচল রাখতে খাবার এর খাওয়ার জুরি নেই। স্মূতি শক্তি বাড়াতে আপনি আম খেতে পারেন। তাই যারা লাখা পড়া করছেন তারা বেশি বেশি করে আম খেতে পারেন। প্রতিদিন আপনি আপনার খাবারে এক মুঠো বায়াদাম বা বীজ রাখতে পারেন।

তা ছাড়া আপনি মাছের তেল ও খেতে পারেন। আন্টি- অস্কিডেন্ট আছে এমন খাবার বেশি করে খাওয়া। ভিটামিন সি যূক্ত খাবার যেমন সাক সবজি বেশি করে খাওয়া। আপনার খাবার এর ২০% শর্করা এবং শক্তি আপনার খাবারে যায়। আপনার মস্তিস্কের কাজের পুরোটাই যাই আপনার গ্লুকোজ এর মাত্রার উপর। আপনার শরীরে গ্লুকোজ এর হেরফের হলে আপনার মনে ও দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা।

স্মূতি শক্তি বাড়াতে ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এটি আপনার মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সহায়তা করে।
ব্লুবেরি খেলে মস্তিষ্কর ধারন খমতা বেড়ে যাই। এটি আপনার ব্রেন সচল রাখতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন আপনি পযাপ্ত পরিমানে বাদাম বা বীজ খাবার অভ্যাস করুন। এতে আপনার মস্তিষ্ক খুব ভলো মনে রাখতে পারে। যারা বেশি বেশি লেখা পোড়া করেন তারা বেশি করে আম খেতে পারেন।

স্মূতি শক্তি বড়াতে পযাপ্ত ঘুম

পূথিবীতে কোন মানুষ ঘুম ছাড়া থাকতে পারে না। আর ঘুম ছাড়া কোন মানুষ স্বাভাবিক হতে পারে না।দেহের প্রয়োজন অনুযায়ি প্রতিদিন না ঘুমালে আমাদের ব্রেন সঠিক ভাবে কাজ করে না। সারা দিন কাজের ফলে আমাদের মস্তিষ্ক ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর তাই আমাদের মস্তিস্কের বিশ্রাম এর প্রয়োজন আছে। এই ঘুম আমাদের স্মূতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 

তাই পরিক্ষা কিংবা কোন গুরুত্বপুন্য কাজের আগে ঠিক মত ঘুমিয়ে নেয়ে উচিত। ঠিক মতো ঘুম না হলে যেমন মাথা বেথা হতে পারে তার পর স্মূতি শক্তিতে সমস্যা করে। তাই ঠিক মতো আমাদের ঘুমিয়ে নেয়া উচিত। তাহলে স্মূতি শক্তি সচল থাকে।

স্মূতি শক্তি থেকে মনে রাখার উপায়

সারারাত ঘুমের ফলে ব্রেন অনেক সতেজ থাকে। পড়া শোনার মত কিছু মনে রাখলে খুব ভোর বেলা পড়তে পারেন। প্রতিদিন ডায়রি লেখার অভ্যাস করুন এতে স্মূতি শক্তি বেড়ে যায়। কোন কিছু যদি আমরা লিখি তবে সেটি আমাদের ব্রেন সহজে আয়ত্ত করতে পারে।

স্মূতি শক্তি বাড়াতে খুজে নিন আপনার অবসর

প্রতিদিন এক কাজ করে করে আপনার মানসিক চাপ বেড়ে যাচ্ছে মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন। কোথাও পরিবার বা বন্ধু দের নিয়ে ঘুরতে বের হন দেখবেন মস্তিস্ক হাল্কা হয়ে গেছে। আপনার পরিবারব খুসি হয়েছে আবার আপনার স্মূতি শক্তি ও বেড়ে গেছে। অধিকতর মানসিক চাপ ব্রেন এর জন্য খতিকারক।সল্প মাত্রার মানসিক চাপ মস্তিস্কের জন্যে ভালো।

এতে বিপদে জরুরি প্রয়োজনে মস্তিস্ক ভালো কাজ করে। দীঘদিন মানসিক চাপ মস্তিস্কের জন্যে খুবই খারাপ। তাই কাজের ফাকে আপনি অবসর খুঁজে নিন। আপনার মস্তিস্ককে অবসর দিয়ে চাপ মুক্ত করুন। এতে আপনার স্মূতি শক্তি সক্রিয় থাকবে।অবসর পারে আপনার ব্যাস্ত মস্তিস্ককে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে। তাই কাজের ফাকে ফাকে অবসর খুজে নিন।

লেখকের মন্তব্য

পূথিবীর নিয়ম অনুযায়ি সব মানুষ ব্যাস্ত থাকে। তাই তাদের মস্তিস্ক ও ব্যাস্ত থাকে। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার স্মূতি শক্তি বাড়াবো বা ভালো রাখবো তো খুব সহজেই পারবেন। স্মূতি শক্তি বাড়াতে নিয়মিত বই পড়া। গান শোনা,নিয়মত ব্যায়াম করা মাঝে মাঝে নতুন কিছু করা বা কোথাও পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, আর পারলে অবসর সময় ও কাটাতে পারেন।


আর এই ভাবেই আপনি আপনার স্মূতি শক্তি বাড়ানো যেতে পারে। আর পাশ পাশি উপুরের নিয়ম গুলি যদি মানতে পারেন তনে আপনার মস্তিস্ক এমনি তেই ঠিক থাকবে।

উপরের লেখা গুলি যদি ভালোলাগে তবে আপনি ওয়েবসাইট টি সাস্ক্রাইব ক্রুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর কে আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url