মেদ কমানোর উপায় কি কি ৭ দিনে মেদ কমানোর উপায়

 আসসালামু আলাইকুম। পেটের মেদ একটি বিরক্তিকর বিষয় যা অনেকের কাছে অসহ্য। আপনি কি মেদ কমানোর উপায় নিয়ে ভাবছেন। ত বে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের পোস্টে মেদ কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে হলে নিচের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

মেদ কমানোর উপায়



একটি সুস্থ শরীর অনেকেরই কাম্য। তবে বিভিন্ন কারণে সবার কপালে তার জোটে না। একটা মেদ হীন শরীর পাওয়ার জন্য আমরা কত কি যে করে থাকি কিন্তু ঠিকমতো পদ্ধতি অনুসরণ না করার কারণে এই মেদ দূর করা সম্ভব হয় না।

ভূমিকা

অনেকেরই দেখা যায় বিভিন্ন কারণে মেদ বেড়ে যায়। সেই সময় এই মেয়ের দূর করায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো আর কোন কিছু নেই। অন্যান্য কাজের মতই এটাও একটা জরুরী কাজ। এখানে হাল ছেড়ে দেওয়ার কোন মানেই হয় না। মানুষ চেষ্টা করলেই তার মেদ কমাতে পারে।


বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের মতে আপনি তাদের কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনার কাঙ্খিত স্বাস্থ্য ফিরে পাবেন। এই মেয়েদের কারণে অনেকেরই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে সমস্যা হয়, বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে সমস্যা হয়। পাশাপাশি দেখার সৌন্দর্য বিঘ্নিত হয়। 

শারীরিক ফিটনেস থাকেনা, এখানে অনেক রোগ বালাই বাসা বাঁধে সবমিলিয়ে অনেক বিরক্তিকর বিষয় হয়ে ওঠে। তাই যাদের মেদ অতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে তাদের মেদ কমানোই খুবই জরুরী ব্যাপার।নিম্নে মেদ কমানোর উপায় গুলি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হচ্ছে।

মেদ কমানোর উপায়

বর্তমানে অনেকেই অনেক রকম ভাবে মেদ কমানোর চেষ্টা করছে,তবে আশানুরূপ ফল পাচ্ছে না।আমাদের মেদ কমানোর উপায় আমাদের মধ্যেই আছে। একটু চেষ্টা করলেই আমরা তা খুঁজে পেতে পারি। আপনার শরীর অতিরিক্ত চর্বি হচ্ছে আপনার মেদ। আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বিগুলাই মেদ হিসেবে পরিচিত।

হাটাহাটি করা : আপনার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য হাঁটাহাঁটি করা একটি উৎকৃষ্ট ব্যায়াম তাকে না জানে। তাছাড়া হাঁটাহাঁটি করলে আপনার শরীরের ও ব্যায়াম হয়।

পর্যাপ্ত ঘুম : আপনার শরীরের ওজন কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন ঘুম আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম ঃ আপনার পেটের মেদ কমাতে চাইলে ব্যায়াম করা অতিব জরুরী। বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে। কষ্ট না করলে কেষ্ট মিলে না। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।

চিনি যুক্ত খাবার বন্ধ করা ঃচিনি খাওয়া সবার জন্য ভালো নয়। বিজ্ঞানীদের মতে আমাদের তলপেটে দুই ধরনের ফ্যাট থাকে, অভ্যন্তরীণ ফ্যাট ও ত্বক নিম্নস্ত ফ্যাট। এই দুটি ফ্যাট কমানোর জন্য বেশি চিনি যুক্ত খাবার বন্ধ করতে হবে। কারণ বর্তি যিনি যুক্ত খাবার আমাদের শরীরের সুগারের মাত্রা কমানোর পর ইনসুলিনের মাত্রাটা বাড়িয়ে দেই । এই সুগার টাই তখন যকৃতে গিয়ে গ্লাইকোজেন এ রূপান্তরিত হয় পরে মেদ হয়ে জমা হয়।

ওজন পরিমাপ ঃ নিয়মিত ওজন পরিমাপ আপনার শরীরকে ঠিক রাখাতে সাহায্য করতে পারে। এক সপ্তাহে আপনার ওজন কতটুকু বাড়লো কতটুকু কমলো সে বিষয়ে খেয়াল রাখাতে ওজন পরিমাপ করা প্রয়োজন। ওজন কমলে খাবার বেশি খাওয়া ওজন বাড়লে খাবার কম খাওয়া খুবই জরুরী।

দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা ঃ দুশ্চিন্তাই আমাদের মেদ বাড়াতে সাহায্য করে।দীর্ঘমেয়াদী দুশ্চিন্তা করলে করটি সালের মাত্রা বেড়ে যায় যা ইনসুলিনের মাত্রা ও বাড়িয়ে তোলে। এই দুশ্চিন্তা আপনার ওজনও বাড়িয়ে দেয়। তাই দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।

মেদ কমাতে বিভিন্ন খাবার

শরীরের ওজন কমাতে বিভিন্ন খাবার অতীব জরুরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এমনও খাবার আছে যে খাবার খাওয়ার পর আপনার মেদ এমনিতেই কমতে সাহায্য করে। কিছু কিছু খাবারের গুণ এতই বেশি যে আপনার পেটের মেদ খুব দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে। আপনার পেটের মেদ কমাতে বিভিন্ন খাবার গুলি নিচে দেওয়া হল

লেবুর রস ঃ লেবুর শরবত আপনার মেদ কমাতে খুবই জরুরি ভূমিকা পালন করে। দেহের বিপাক বাড়াতে লেবুর রস সহায়তা করে। লেবুর রস দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিপাক প্রক্রিয়ার গোলমাল ছাড়াতে সাহায্য করে, ফলে চর্বি পোড়ানোর পরিমাণও বেড়ে যায়।

পেয়ারা ঃ আমরা জানি পেয়ারাতে ভিটামিন সি থাকে। তবে একটি পেয়ারায় চার গ্রাম প্রোটিন থাকে। আর ওজন কমাতে পেয়ারা যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

সরিষা ঃইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, এক চা চামচ সরিষা খাওয়ায় ঘন্টায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিপাক বেড়ে যায় যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। ওজন কমাতে সরিষা বেশি উপকারী।

কফি ঃ কালো কফিতে বাড়তি ক্রিম বা কৃত্রিম মিষ্টি যোগ করা হলে ফলাফল ভিন্ন হয়। এই কালো কফি বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে থাকে ফলে ওজন কমে যাই।

বাঁধাকপি ঃ পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে বাঁধাকপি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। বাঁধাকপি যে আশে পরিপূর্ণ সেটা আমরা সবাই জানি।

লাল আপেল ঃলাল আপেলের রয়েছে দ্রবণীয় আশ যা পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে থাকে। দেখা গেছে প্রতি ১০ গ্রাম দ্রবণীয় আশ যারা গ্রহণ করে থাকে তাদের পাঁচ বছরে তিন পয়েন্ট সাত শতাংশ চর্বি কমতে সহায়তা করে।

পানি ঃ আপনার শরীরকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রচুর পানি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার নেট কমাতে পারেন। পানি আপনার বিপাক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। আপনি মেদ কমাতে চাইলে প্রচুর পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।


লাল মরিচ ঃ লাল মরিচে ভিটামিন সি আছে যা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের মাত্রা কামাই। আর বেশি চাপে থাকলে কটিস্থলের মাত্রা বাড়ে যা পেটের ছবি জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

সাত দিনে মেদ কমানোর উপায়

সাতদিনে মেদ কমানোর অনেক উপায় আছে। অনেকে মনে করে শুধু ব্যায়াম করলেই মেদ কমে যায়। কিন্তু আসলে তা নয়। ব্যায়াম ছাড়া অনেক কিছু উপায় আছে যে উপায়ে মাত্র ৭ দিনে আপনার মেদ কমাতে পারেন। যেমন বিভিন্ন খাবার অধিক পরিমাণে খেলে আপনার মেদ কমতে সহায়তা করবে । বিভিন্ন ধরনের খাবার বর্জন করা, যোগ ব্যায়াম করা, পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করা।

আপনি খেলাধুলার মাধ্যমেও আপনার মেদ কমাতে পারেন মাত্র ৭ দিনে। এমনকি বর্তমান যুগে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমেও আপনার মেদ কমাতে পারেন খুবই দ্রুত গতিতে। তবে তা অধিক খরচ সাপেক্ষ। আপনাকে দ্রত খাবার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। যেখান সেখানে খবার অভ্যাস বাদ দেয়া দরকার।

কিছু খাবারের মাধ্যমে মেদ কমানোর উপায়

কিছু খাবার আছে যে খাবারের কারণে দ্রুত সময় আপনার মেদ কমতে পারে যেমন দারুচিনি, লেবুর রস, আদা চা, সাবুদানা , মরিচ, গ্রিন টি ইত্যাদি অনেক খবর আছে এগুলো খেলে আপনার মেয়ের দ্রুত কম সময়ে আপনার মেদ যেতে পারে। এছাড়াও মেদ কমাতে বিভিন্ন খাবার বেশ গুরুত্ব দেয়। তাই এই মেদ কমাতে বিভিন্ন খাবার এর উপর নজর দেয়া উচিত।

অধিক পরিমাণে ব্যায়াম করার মাধ্যমে মেদ কমানোর উপায়

শরীরের চর্বি কমাতে অধিক পরিমাণে হাটাহাটি করা যেতে পারে।তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতে পারেন যেমন ফুটবল, ক্রিকেট , কাবাডি, আপনি কিনবা দৌড়াদৌড়ি করতে পারেন। আশা করা যাই এতে আপনার মেদ দ্রুত কমতে পারে।

বিভিন্ন চিকিৎসার মাধ্যমে আপনার মেদ কমানোর উপায়

আজকাল বিভিন্ন রকম চিকিৎসার মাধ্যমে আপনার মেদ দ্রুত গতিতে কমাতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের বাজারে মেডিসিন পাওয়া যাচ্ছে এগুলা খেলে আপনার মেয়ের দ্রুত গতি কমে যাবেতাছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের মেদ কমানোর বেল্ট পাওয়া যাচ্ছে সেগুলা ব্যবহার করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।

লেখক এর মন্তব্য

সুস্থ শরীর কে না চায়। কিন্তু সবার ভাগ্যে সেটা জোটে না। কিন্তু কেউ পেলে সেটা ধরে রাখতে পারেনা। তাই শরীরকে সুস্থ রাখা অতিব জরুরী। আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে আপনি পারেন। আপনার আপ্রাণ চেষ্টায় পারে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে মেদ বিহীন রাখতে। তাই আমি মনে করি, আপনি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে বা মেয়ের বিহীন রাখতে চাইলে আলোচনা অনুযায়ী আপনার জীবন পরিচালনা করুন।

মেদ কমাতে বিভিন্ন খাবার ও ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। এই ধরনের খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন খেলাধুলা করুন, পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আশা করা যাই এটাই আপনার মেদ কমানোর আসল উপায় হিসেবে ধরা দিবে।


উপরের পোস্টটি পড়ে যদি আপনার উপকার হয় তবে আমার ওয়েবসাইটটি লাইক করুন ও সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর কে আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url