যে কারনে রমজান মাসের গুরুত্ব

 ইসলাম ধর্মের বারোটি মাসের মধ্যে রমজান মাস অতি উত্তম মাস। প্রত্যেক মাসের থেকে এই মাসে সব থেকে বরকত বেশি রয়েছে। ইসলামে এই মাসের গুরুত্ব সব চেয়ে বেশি। যে কারনে রমজান এর এত গুরুত্ব তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। রমজান সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে চাইলে মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।


রমজানের মাসের গুরুত্ব


ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মুল স্তম্ভ রয়েছে। ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত। ঈমান, নামাজ এর পরই রোজার স্থান। এই রোজার আরবি শব্দ হচ্ছে সাওম, যার অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা।

ভুমিকা

আরবি মাসের ০৯তম মাস হচ্ছে রমজান মাস। এই রমজান মাস মুসলমান দের জন্য বড় একটি নিয়ামত। মহান আল্লাহ এই মাস টি মুসলুমান দের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এটই মহান আল্লাহর কুরুনা লাভের একটি মাস।, অধিক নেকি লাভের একটি মাস, আল্লহর নৈকট্য লাভের মাস। পরকালিন জীবন সুখের করের জন্য একটি সুবর্ণয় সুযোগ।মহান আল্লাহ এই মাসের প্রতিটি মুহুতে অশেষ নিয়ামত দান করেছেন।


আর এর মাস টির গুরুত্ব বেশি হওয়ার ও কারন আছে। কারন এই মাসের বরকত অতি বেশি। করন আল্লাহ বলেছেন যে যে এই রমজান মাস পাবে সে যেন এই মাসের সৎ ব্যাব্যহার করে। তবে এই মাস টি অতি ফজিলত পুণ্য হবার ও কারন আছে।

রমজানের মাসের গুরুত্ব 


রমজান মাসের গুরুত্ব  অনেক। অন্যান্য মাসের থেকে রমজান মাসের গুরুত্ব  অনেক বেশি। এই মাসে কোরআন  নাজিল হয়।এই মাসের অন্য মাসের থেকে অধিক কোরআন  তিলাওয়াত  বেশি হয়। আর এই মাসে আমলের সাওয়াব বহুগুন বেশি দেয় আল্লাহ। রমজান মাসে আল্লাহর  কাছে বেশি ইবাদতের মুল্য হয়। এই মাসে আল্লাহ  সব থেকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়,তার পাশাপাশি  লাইলাতুল কদর এই মাসের হয়। রমজান মাসের ফজিলত অনেক অনেক বেশি। তাই তো রমজান মাসের গুরুত্ব  অনেক।

সিয়াম ও কিয়াম

সিয়াম কথা অর্থ হচ্ছে রোজা। রমজান মাসের আগমন ঘটে মুলত রোজা ও তারাবীর মধ্যে দিয়ে। আর এইটি রমজান মাসের বড় একতি আমল। তাই প্রতেক মুসলমান দের উচিত যে এই দুই বিষয়ে যত্নবান হওয়া। বলা হয়েছে হে ঈমান দাররা  "তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যে মন তোমাদের পূর্ব বতীদের উপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অনলাম্বন কারী হতে পারো।"

রোজা পালন করার জন্য জোর দিয়ে বলা হয়েছে তোমরা যারা এই রমজান মাস কে পাবে সে যেন কনো মতে এই মাস টা মিস না করে। কারন সামনের রমজান মাস তার জীবনে আর আসবে কি না সে তা বলতে পারবে না। এই এক টি মাস মুসল্মান দের জন্য বরকতময় মাস।

প্রত্যেক মানুষ চাই সুখের স্থান খানা পেতে কিন্তু সেই স্থান খানার জন্য যে পরিশ্রম করতে হয় তা সহজে কিরতে চাই না। আমরা এই রমাজান মাস পাবার আগে এই রমাজন আরো অনেক বেশি ছিল কিন্তু আল্লাহ আমাদের এই রমাজান কে সহজ করে দিয়ে মাত্র ১ মাস করে দিয়েছে। সাথে সাথে এই মাসের গুরুত্ব ও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই রোজা কাদের জন্য ফরজ, প্রথমত এই রোজা মুসলমান গন পালন করবেন। আর সেই মুসলমান রোজা পালন করবে জার উপর রোজা করার মত বয়স হয়েছে। আর তাই বলা হয়েছে যেই শিশুর বয়স ১০ বছর এর বেশি সেই শিশুর উপর রোজা ফরজ হবে।

জান্নাতে রাইইয়ান নামক একটি বিশেষ দরজা রয়েছে, যা দিয়ে একমাত্র রোজাদাররাই প্রবেশ করতে পারবে না। আর যে ব্যাক্তি একবার এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে তার জীবনে আর কনো দিন পিপাসা লাগবে না।

কোরআন নাজিল এর মাস রমজান

রমজান মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে। এই মাসের কনো এক রাতে এই কোরআন নাজিল হয়েছে। ১০৪ খানা আসমানি কিতাব এর মধ্যে ৪ খানা বড় কিতাব। আর এই ৪ খানার মধ্যে কোরআন মাজিদ এক খানা। বল হয়ে থাকে ২৭ রমজান এর রাতে এই কোরআন নাজিল হয়েছে। আর এই মাসেই পুন্য কোরআন লাওহে মাহফুজ থেকে এক সঙ্গে পূথিবিতে আসে।


আর এই কোরআন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর অবতীন হয়। কোরআন নাজিল হবার কারন হচ্ছে যে মানুষ কে বাকা পথ থেকে সটিক পথে নিয়ে আসা। মানুষ কে হেদায়েত দেয়া বা করা।

অধিক কোরআন তিলাওয়াত করা

যে হেতু এই মাসে অন্ন্য মাসের থেকে ৭০ গুন সওয়াব বেশি তাই আধিক পরিমান কোরআন তিলাওত করা। এটি যেমন কোরআন নাজিল এর মাস টিক তেমনি কোরআন তিলাওয়াত এর মাস ও। পাশা পাশি কোরআন শেখা ও শেখানোর মাস ও বটে। কোরআন ভালো ভাবে মুখস্ত করে ভালো ভাবে ইয়াদ করা। আ এই মাস কোরআন শোনা ও শোনানোর মাস। কনো ব্যাক্তি কোরআন তিলাওয়াত করে রোজা করে তার জন্য আরো অধিক সাওয়াব বেশি।

আমালের সাওয়াব বহুগুন বেশি

এই রমজান মাস নেক আমালের প্রতিদান বাড়ানোর মাস। এই মাস আখিরাতের সাওদা করার শ্রেষ্ট সময়। বিভিন্ন ব্যাব্যসায়ী দের একটা সময় থাকে যেমন সেই সময় ব্যাব্যসা বেশি হয় ঠিক তেমনি এই সময় মুসলমানদের এই মাসে কম সময়ে অধিক নেকি আয় করা যাই। রমজান মাসের নফল ইবাদত ও ফরজ ইবাদতের সমান। আর যে কোন ফরজ ইবাদতের দাম অন্ন্য মাসের ৭০ গুন বেশি হয়।

বেশি বেশি কল্যানের ঘোষণা

এই মাসে জন্নাতের ৮ টি দরজা খুলে দেয়া হয়। আর জাহান্নামের দরজা গুলি বন্ধ করে দেয়া হয়। নবিজী বলেছেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে ,তখন দুস্ট জীন ও শয়তানদের বেধে রাখা হয়। আর জাহান্নামের প্রতিটি দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়া আর একটি ও খোলা থাকে না। আর জান্নাতের সব কটি দরজা খোলা থাকে একটি ও বন্ধ থাকে না। আর এই মাসে অনেক জাহান্নামি দের মুক্তি দেয়া হয়।

দোয়া কবুল ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ

রমজান মাসে অন্ন্য মাসের তুলনায় দোয়া অধিক পরিমানে কবুল করা হয়। পাশা পাশি অনেক জাহান্নামি কে মুক্তি দেয়া হয়ে থাকে।জাহান্নামি তালিকায় থেকে নাম মুছে ফেলা হয়। বিশেষ করে রোজাদার দের দোয়া বেশি বেশি কবুল করা হয়।

সারা বছর এর জন্য ইবাদতের শক্তি

এই রমজান মাস কেউ সঠিক ভাবে পালন করলে সারা বছর রমজান সাওয়াব এর গুন পাবে। ১২ টি মাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে রমজান মাস। বারো মাসের সরদার হচ্ছে রমজান মাস। নবিজি বলেছেন যে রমজান মাসের থেকে উত্তম কোন মাস আসে নি এবং মুনাফিকদের জন্য এই মাস অধিক ক্ষতিকর কোন মাস ও আসেনি।কেন্না মুমিনরা এই মাস থেকে সারা বছর এর জন্য ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংরহ করে। আর মুনাফিক দের জন্য এই মাস উদাশীনতা। এই মাস মুমিন্দের জন্য গনিমত আর মুনাফিকদের জন্য ক্ষতির কারন।

 রমজানে অধিক দানশীলতা

নবিজী হযরত মুহাম্মদ ( সঃ) এমনি তেই প্রচুর দান করতেন। আর এই রমজান মাসে এই দান আরো বাড়িয়ে দেন। পাশা পাশি নবিজীর সাহাবিরা এই মাসে ও বেশি বেশি দান করতেন।আর প্রত্যেক ব্যাক্তিদের ও উচিতেই মাসে প্রচুর দান সাদকা করা। জীব্রাইল (আ) রমজানের প্রতি রাতে আগমন করতেন এবং তারা পরস্পর কোরআন শোনাতেন। আল্লাহর রাসূল (সা) তখন কল্যানবাহী বায়ুর চেয়েও শক্তিশালী। নবিজি আরো বলেছেন যে ,যে ব্যাক্তি কোন রোজাদার কে ইফতার করালো সে তার অনুরুপ প্রতিদান লাভ করবে।

 রমজান মাসে লাইলাতুল কদর এর রাত

এই মাস হাজার মাসের থেকেও উত্তম মাস। এই রাতে ইবাদত করলে হাজার রাত এর থেকেও বেশি সাওয়াব পাওয়া যাই। ইরশাদ হয়েছে যে। এই মাস এক হাজার রাত অপেক্ষা ুউত্তম এই মাসে ফেরেস্তা গন কল্যান ময়ি বস্তু নিয়ে পূথিবীতে অবতরণ করে।যে রাত পুরোটাই শান্তি যা ফজর না হওয়া পযন্ত।এই রাত জেগে ইবাদত করতে হয় । কারন বছরে এই রাত এক বার আসে।

রমজান মাসের ফজিলত

রহমত, মাগফেরাত, আর নাজাতের বার্তা নিয়া আসা রমজান নিঃসন্দেহে অন্যান্য মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদা পুরন।এই মাসের অজিত জ্ঞান অন্য সকল মাসের প্রয়োগের মাধ্যেমে আমাদের জীবন সুন্দর ও আলোকিত হয়ে ওঠে।ধর্ম প্রান মুসলমান হিসেবে আমাদের জীবনে রমজান মাসের ফজিলত অনেক বেশি।

লেখকের মন্তব্য

মুসলিমদের জীবনে রমজান মাসের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমার মনে হয় যেহুতু এই মাসের গুরুত্ব অনেক বেশি সেহুতু  যে ব্যাক্তি এম মাস পাবে সে যেন সজ্ঞান থাকা অবস্তায় রোজা পালন করে। কারম এই মসে হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এই মাসে লাইলাতুল কদর আছে।এই মাসে অন্য মাসের থেকে সাওয়াব বহু গুন বেশি। আর রমজান মাসের ফজিলত ও অনেক বেশি।
 

আমার এই ওয়েবসাইট টি পড়ে যদি আপনি উপকার পেয়ে থাকেন তবে অয়েবসাইট টি সাস্ক্রাইব করুন । ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর কে আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url